The Six Points of Tabligh in Bangla
|
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
|
নাহমাদুহু অনুসল্লী আলা রাসুলিহিল কারীম
|
কোন মানুষ যদি আল্লাহ পাকের নিকট কবুল হতে চায়, আল্লাহ পাক তাহার অর্থ-সম্পদ, বংশ-মর্যদা, শিক্ষা-দীক্ষা, সামাজিক অবস্থান, রং কিছুই দেখেন না- দেখেন তার ছিফাত। তম্মধ্যে প্রথম ছিফাত হলো ঈমান।
|
ঈমান
|
ঈমান হলো, হুজুর (সঃ) এর উপর পূর্ণ আস্থা রেখে আল্লাহ পাকের পক্ষ হইতে তিনি যে সকল খবর নিয়ে এসেছেন, তা বিনা দ্বিধায় মেনে নেওয়া।
|
ঈমানের উদ্দেশ্য ঃ
|
ক) দীলের একীন সহী করা (মাখলুক থেকে হয়না, খালেক থেকেই হয় ইত্যাদি)।
|
খ) তরীকার একীন সহী করা (হুজুর (সঃ) এর তরীকা অনুযায়ী চলার মধ্যে একমাত্র কামিয়াবী)।
|
গ) জজবার একীন সহী করা (মালমুখী থেকে আমলমুখী হওয়া এবং দুনিয়া মুখী থেকে আখেরাত মুখী হওয়া)।
|
ঈমানের ফজিলত ঃ
|
ঈমানের দ্বারাই বান্দার সাথে আল্লাহর সম্পর্ক স্থাপন হবে। জার্রা পরিমাণ ঈমান নিয়ে যে ব্যক্তি দুনিয়া থেকে যাবে, তাকে ১০ দুনিয়ার সমান বেহেশত দেওয়া হবে।
|
হাসিল করার তরিকা ঃ ৩ লাইনে মেহনতের মাধ্যমে ঈমান হাছিল হইবে। (১) দাওয়াত, (২) মশক ও (৩) দোয়া।
|
১। দাওয়াত ঃ যেখানে যেখানে আসবাব থেকে হওয়ার আলোচনা হয়, সেখানে সেখানে গিয়ে আল্লাহ থেকে হওয়ার দাওয়াত দিতে হবে। নিজের জীবনে আনার জন্যই দাওয়াত দিতে হবে। আল্লাহ পাকের রুবুবিয়াতের, বড়ত্বের, একত্ববাদের এবং আজমতের দাওয়াত দিতে হবে।
|
২। মশক ঃ ঘরে ও মসজিদে ঈমানী হালকা কায়েম করে ৪ বিষয়ে মশ্ক করতে হবে।
|
(ক) আল্লাহ পাকের কুদরতের কথা আলোচনা করতে হবে। (আল্লাহ পাক কুদরতের দ্বারা কায়েনাত সৃষ্টি করেছেন, কায়েনাতের মধ্যে কুদরত নাই ইত্যাদি) এর দ্বারা দিলে আল্লাহ পাকের আজমত বসতে, ধারনা সাফ হবে।
|
(খ) নবীদেরকে যেভাবে গায়েবী মদদ করা হয়েছে, উহার মশ্ক করতে হবে। এর দ্বারা দিলে জমা পয়দা হবে।
|
(গ) একীনের বুনিয়াদের উপর সাহাবাদেরকে জাহেরের খেলাফ আল্লাহ পাক যে সব মদদ করেছেন, তার মশ্ক করা (১০ হাজারের বাহিনীকে দজলা নদীর ওপর দিয়ে পার করে দিয়েছেন, তামীমদারী (রাঃ) আগুনকে পাহাড়ের গুহায় ঢুকায়ে দিয়েছেন ইত্যাদি)।
|
(ঘ) ঈমানের লক্ষণ সমূহের ব্যাপারে কোরআন ও হাদীসের আলোকে যে সকল আয়াত ও হাদীস আছে, তাহার মশ্ক করা (যেমন নেক কাজে খুশী লাগা, গুনাহ হলে দুঃখ লাগা-ইহা ঈমানের আলামত)। এর দ্বারা নিজের ঈমান মাপা যাবে।
|
৩। দোয়া ঃ কামেল ঈমান হাসিল করার জন্য দোয়া করতে হবে।
|
২য় ছিফাত নামাজ
|
আল্লাহ পাকের খাজানা থেকে নেওয়ার মাধ্যম হলো আমল। উত্তম আমাল হলো নামাজ।
|
উদ্দেশ্য ঃ আল্লাহ পাকের খাজানা থেকে সরাসরি নেওয়ার এক যোগ্যতা অর্জন করা।
|
ফজিলত ঃ নামাজ বেহেশতের চাবি । নামাজের এহমেমামের দ্বারা আল্লাহ পাক ৫ ভাবে পুরস্কৃত করবেন।
|
হাসিল করার তরিকা ঃ ৩ লাইনে মেহনতের মাধ্যমে নামাজ হাছিল হইবে। (১) দাওয়াত, (২) মশ্ক ও (৩) দোয়া।
|
(ক) দাওয়াত ঃ
|
১। আমার জিন্দেগীতে কামেল নামাজ আনার জন্য উম্মতের মধ্যে চলেফিরে কামেল নামাজের দাওয়াত দিতে হবে।
|
২। নামাজের ফাজায়েল জেনে জেনে উহার দাওয়াত দিতে হবে।
|
৩। নামাজ শুরু হয় অজুর দ্বারা, তাই অজুর ফরজ, সুন্নত, মোস্তাহাব ইত্যাদি সম্পর্কে দাওয়াত দিতে হবে।
|
৪। আল্লাহর ধ্যানে নামাজ পড়তে হবে, নিজের জিন্দেগীতে আনার জন্য এই কথা বলে বলে দাওয়াত দিতে হবে।
|
৫। কেরাত, রুকু, সেজদা, জলসা ইত্যাদি শান্তভাবে আদায় করতে হবে, এই কথার দাওয়াত দিতে হবে।
|
(খ) মশ্ক ঃ ২ লাইনে নামাজের মশক করতে হবে।
|
১। জাহেরী লাইনে ঃ
|
(ক) অজু থেকে সালাম ফেরানো পর্যন্ত সকল বিষয় যথা মেসওয়াক, অজুর ফরজ, সুন্নত, মোস্তাহাবের প্রতি খেয়াল রেখে অজু করা।
|
(খ) কেয়াম, রুকু, সেজদা, জলসা ইত্যাদি অঙ্গ প্রত্যঙ্গের ব্যবহার যথাযথভাবে আদায় করার জন্য মশ্ক করতে হবে।
|
২। বাতেনী লাইন ঃ
|
(ক) আল্লাহর ধ্যানে নামাজ পড়া।
|
(খ) মুশু-খুজুর সাথে নামাজ পড়া।
|
(গ) মোয়ামেলাতের মধ্যে তাকওয়া আনা, নিজের কামাই/ রোজগার হালাল না হলে রক্তপাক হবে না।
|
(ঘ) প্রতি রোকনে (কেয়াম, রুকু, সেজদা, জলসা) কমপক্ষে ৩ বার এই ধ্যান করতে হবে যে, আল্লাহ পাক আমাকে দেখতেছেন। শান্তভাবে সকল রোকন আদায় করতে হবে।
|
(ঙ) কোন সমস্যা আসলে তাহা নামাজ দ্বারা সমাধান করার চেষ্টা করতে হবে।
|
(চ) নামাজের মধ্যে দিল দেমাগ ও শরীর হাজির রাখতে হবে (অর্থাৎ নামাজে ফরজ, ওয়াজিব, সুন্নত কি কি তাহা ইয়াদ রাখতে হবে।
|
দোয়া ঃ হাকিকত ওয়ালা নামাজ পড়ার তৌফিক চেয়ে আল্লাহর কাছে দোয়া করতে হবে।
|
৩য় ছিফাত- এলেম
|
উদ্দেশ্য ঃ
|
এলমে এলাহীর মধ্যে দুনিয়া ও আখেরাতের কামিয়াবী আছে, এই একীন দিলে পয়দা করা। যে এলেম দ্বারা আল্লাহকে চেনা যায়, সেটাই এলমে এলাহী।
|
ফাযায়েল ঃ
|
যে ব্যক্তি এলমে এলাহী শিখতে বাহির হয়, ফেরেশতারা তার চলার পথে পাখা বিছায়ে দেয়। এলমের একটা অধ্যায় শিক্ষা করা ১০০০ রাকাত নফল নামাজ পড়ার চেয়ে উত্তম।
|
হাসিল ঃ
|
৩ লাইনে মেহনতের দ্বারা এলমে এলাহী হাসিল হবে। (১) দাওয়াত, (২) মশ্ক ও (৩) দোয়া।
|
(ক) দাওয়াত ঃ এলমের উদ্দেশ্য এবং ফাজায়েল বলে বলে মানুষের মধ্যে দাওয়াত দিতে হবে।
|
(খ) মশক ঃ ৪ ভাবে এলমে হাসিলের মশক করতে হবে।
|
১। ফাজায়েল ওয়ালা এল্ম (ঘরে ও মসজিদে তালিমের হালকায় বসে)
|
২। মাসায়েল ওয়ালা এল্ম (ওলামায়ে কেরাম থেকে)।
|
৩। ছিফাত ওয়ালা এল্ম (মোনতাখক্ষ হাদীস পড়ে পড়ে)।
|
৪। তরবীয়ত-ওয়ালাএল্ম (হায়াতুস সাহাবা পড়ে পড়ে)।
|
দোয়া ঃ এলমে এলাহী হাসিলের তৌফিক চেয়ে আল্লাহর কাছে দোয়া করতে হবে।
|
|
জিকির
|
উদ্দেশ্য ঃ
|
আমাদের জিন্দেগীর মধ্যে এহসান পয়দা করা। আল্লাহ আমাকে সর্বদা দেখেন, আমার দিলের জল্পনা-কল্পনাও তিনি জানেন-শুনেন, এই একীন সর্বদা দিলে থাকাকে এহসান বলে। আল্লাহ পাক সামীউন/বাসীরুন/আলীমুন আল্লাহ পাকের এই ৩ সিফাতের ধ্যান মানুষকে মাকামে এহসান এ পৌছায়।
|
ফজিলত ঃ জিকিরের দ্বারা আল্লাহর মহব্বত পয়দা হয়, নৈকট্য লাভ হয়, দিল জিন্দা হয় এবং দিলের গাফলত দূর হয়।
|
হাসিল করার তরিকা ঃ ৩ লাইনে মেহনতের মাধ্যমে জিকির হাছিল হইবে। (১) দাওয়াত, (২) মশ্ক ও (৩) দোয়া।
|
(ক) দাওয়াত ঃ
|
১। জিকিরের উদ্দেশ্য এবং ফজিলত বলে বলে মানুষের মধ্যে চলেফিরে দাওয়াত দিতে হবে।
|
২। তাসবিহাত ঃ আল্লাহর ধ্যানের সাথে তাসবিহাত আদায় করা। ধ্যান ছাড়া তাসবিহাত আদায় করলে গাফলত পয়দা হয়। ধ্যান ছাড়া তাসবিহাত আদায় করলে আল্লাহ থেকে দূরে সরে যাবে। তাই ধ্যানের সাথে তাসবিহাত আদায় করতে দাওয়াত দিতে হবে।
|
৩। কোরআন তেলাওয়াত ঃ আল্লাহর নৈকট্য লাভ করা। গাফলত দূর করা। ধ্যানের সাথে কোরআন তেলাওয়াত করতে হবে এই কথার দাওয়াত দিতে হবে।
|
৪। মাসনুন দোয়া ঃ মাসনুন দোয়া ধ্যানের সাথে আদায় করতে হবে। ধ্যান ছাড়া যে কোন আমল আদতে পরিনত হবে।
|
(খ) মশক ঃ
|
১। যেগুলির দাওয়াত দিব সেগুলির মশক করতে হবে।
|
২। তিন তাসবিহ ঃ সকাল সন্ধ্যা তিন তাসবিহ ধ্যানের সাথে আদায় করা।
|
৩। মাসনুন দোয়া ঃ ধ্যানের সাথে মাসনুন দোয়া আদায় করা। ধ্যান ছাড়া মাসনুন দোয়া পড়লে আমল হবে না। আদত হবে। আর আল্লাহ তাআলা আদতের কোন বদলা দিবেন না। যেমন ডান পায়ে মসজিদে ঢোকা। যদি আল্লাহর ধ্যান না থাকে যদিও ডান পায়ে ঢোকা হয়, তবুও এটা আদত হবে।
|
৪। কোনআন তেলোয়াত ঃ রোজানা কমপক্ষে ১ পারা ধ্যানের সাথে কোরআন তেলোয়াত করা।
|
৫। আল্লাহ পাকের জাত ও ছিফাতওয়ালা শব্দ জবানের রাখতে হবে। মাঝে মাঝে অল্প উচ্চস্বরে বলতে হবে। ধ্যান ছাড়া যিকির আল্লাহ থেকে দূরত্ব পয়দা করে এবং গাফলত পয়দা করে।
|
(গ) দোয়া ঃ আল্লাহ আমাদেরকে হাকিকতের জিকির দান করে।
|
৪র্থ ছিফাতঃ একরাম
|
উদ্দেশ্য ঃ
|
নবীওয়ালা আখলাক আমাদের জিন্দেগীতে আনার জন্য এবং আমলের হেফাজতের জন্য একরাম করতে হবে।
|
ফজিলত ঃ
|
১। কোন মুসলমানের উপকার করার চেষ্টা করা, ১০ বছর এতেকাক করার চেয়ে উত্তম।
|
২। যে মুসলমানের দোষত্র“টি ঢেকে রাখবে, আল্লাহ পাক দুনিয়া ও আখেরাতে তার দোষত্র“টি ঢেকে রাখবেন।
|
হাসিল করার তরিকা ঃ ৩ লাইনে মেহনতের মাধ্যমে একরাম হাছিল হইবে। (১) দাওয়াত, (২) মশ্ক ও (৩) দোয়া।
|
(ক) দাওয়াত ঃ সমস্ত মাখলুকের হক আদায় করতে হবে, এই কথার দাওয়াত দেওয়া।
|
(খ) মশ্ক ঃ
|
১। নিজের ভাল কাজের মধ্যে দোষ তালাশ করা এবং অপর মুসলমান ভাইয়ের দোষের মধ্যে গুণ তালাশ করা।
|
২। প্রকৃত মোমেন ব্যক্তি সে, যে নিজের জন্য যাহা পছন্দ করে, অন্যের জন্যর তাহা পছন্দ করে।
|
(গ) দোয়া ঃ হোসনে আখলাক নিজের জিন্দেগীতে নসীব হওয়ার জন্য আল্লাহর নিকট দোয়া করতে হবে।
|
৫ম ছিফাতঃ এখলাস
|
উদ্দেশ্য ঃ রেজায়ে এলাহি। আল্লাহ পাকের আহকামসমূহ সুন্নত তরিকায় কেবলমাত্র আল্লাহ পাকের রাজীর নিয়তে করা।
|
ফজিলত ঃ এখলাসের সহিত সামান্য আমলই নাজাতের জন্য যথেষ্ট। আল্লাহ পাক ঐ আমলই কবুল করেন যাহা কেবল আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য করা হয়।
|
হাসিল করার তরিকা ঃ ৩ লাইনে মেহনতের মাধ্যমে এখলাস হাছিল হইবে। (১) দাওয়াত, (২) মশ্ক ও (৩) দোয়া।
|
(ক) দাওয়াত ঃ এখলাসের উদ্দেশ্য ও ফজিলত বলে বলে দাওয়াত দিতে হবে।
|
(খ) মশ্ক ঃ
|
১। প্রতিটি আমলের শুরু, মাঝে এবং শেষে নিয়াতকে যাচাই করতে হবে। আমলটি আল্লাহর রেজামন্দীর জন্য হইতেছে কিনা।
|
২। রোজানা একটা আমল এমনভাবে করা যাহা আল্লাহ ও তার ফেরেশতাগণ ব্যতীত কেহ না জানে।
|
৩। নিজের সমস্ত ভাল আমলের মধ্যে খারাবি তালাশ করা।
|
(গ) দোয়া ঃ
|
এখলাস হাসিল হওয়ার জন্য আল্লাহর নিকট দোয়া করতে হবে।
|
৬ষ্ঠ সিফাত হলোঃ দাওয়াত ও তাবলীগ
|
উদ্দেশ্যঃ নিজের ঈমান, একীন ও আমাল সহী হয়ে যায় এবং সকল উম্মতের ঈমান একীন ও আমাল সহী হয়ে যায়, এই উদ্দেশ্যে হুজুর (সাঃ) এর মেহনতের তরীকাকে জিন্দা করা। দাওয়াতের মেহনতের মাধ্যমে ঈমান হাসিল হয়। মালুমাতের মাধ্যমেও ঈমান হাসিল হয়। কিন্তু এই ঈমান হালতের সামনে টিকে না।
|
ফজিলতঃ
|
১। আল্লাহর রাস্তায় এক সকাল অথবা এক বিকাল দুনিয়া এবং দুনিয়ার মধ্যে যা কিছু আছে, তার চেয়ে উত্তম।
|
২্। আল্লাহর রাস্তায় প্রতি কদমে ৭০০ নেকী হবে, ৭০০ গুনাহ মাপ হবে এবং বেহেশতে ৭০০ দরজা বুলন্দ হবে।
|
ঘাসিলঃ ৩ লাইনে মেহনতের দ্বারা এই সিফাত হাসিল হবে। (ক) দাওয়াত, (খ) মশ্ক ও (গ) দোয়া।
|
(ক) দাওয়াতঃ দাওয়াতে তাবলীগের উদ্দেশ্য ও ফজিলত বলে মানুষকে দাওয়াত দিতে হবে।
|
(খ) মশ্কঃ নিজের জান, মাল ও সময় নিয়ে আল্লাহর রাস্তায় বের হয়ে এই সিফাতের মশ্ক করতে হবে।
|
(গ) দোয়াঃ নিজের জান মাল ও সময় আল্লাহর রাস্তায় কবুল হওয়ার জন্য দোয়া করতে হবে এবং পুরা উম্মতের জন্যও এই দোয়া করতে হবে।
|
কিছু নছিহতঃ
|
ঈমানের দাওয়াত না দিলে শেরেক আম হবে।
|
নামাজের দাওয়াত না দিলে খারাপ কাজ আম হবে।
|
জিকিরের দাওয়াত না দিলে গাফলত আম হবে।
|
আখলাকের দাওয়াত না দিলে বদ-আখলাকী আম হবে।
|
নিয়তের দাওয়াত না দিলে রিয়া আম হবে।
|
জান মাল আল্লাহর রাস্তায় খরচের দাওয়াত না দিলে মুসলমানের মাল দ্বারা অমুসলমান লাভবান হবে।
|
ওয়াদার উপর বিশ্বাসের নাম একীন
|
দাওয়াত না দিলে একীন আসে না, একীন না থাকলে আমাল করা যায় না।
|
আমাল না করলে আল্লাহ পাকের মদদ আসে না।
|
আল্লাহ পাকের প্রতিটি সিফতি নামের উপর ১০০% বিশ্বাস থাকতে হবে, এর জন্য প্রতিটি সিফাতের দাওয়াত দিতে হবে।
|
কোন এক সিফাতের উপর দূর্বলতা থাকলে শেরেক ঢুকার জন্য যথেষ্ট। মোশাক্কাত দ্বারা দ্বীন আসবে না। দ্বীন আসবে জহুদের দ্বারা। যেখানে যতটুকু সেখানে ততটুকু –এটাই জহুদ।
|
গাস্ত সম্পর্কীয়ঃ
|
গাস্তের উদ্দেশ্য হলো নিজের হেদায়েতের জন্য অপর ভাইকে স্মরণ করাইয়া দেওয়া। নিজেকে আল্লাহর নিকট মকবুল বানানো। গাস্তের মাধ্যমে গাফেল বান্দাকে ডাকা নহে। যে অন্যের জন্য করবে সে কেটে যাবে। যে নিজের জন্য করবে আল্লাহ তাকে হেদায়েত দিবেন। কারো সম্পর্কে বদগুমান করলে নিজের কল্ব নষ্ট হইয়া যাইবে।
|
দাঊদ (আঃ) আল্লাহ পাককে জিজ্ঞাসা করেন-‘কে আপনার মাহবুব বান্দাহ’
|
উত্তরে আল্লাহ পাক বলেন,‘ যে আমার মহব্বত অন্যের মধ্যে সৃষ্টি করার মেহনত করে’।
|
এস্তেমায়ী কুলুবের জন্য ৪ টা সিফাত দরকার-
|
(ক) নরমীয়াত, (খ) দরগুজার (মাফ চাওয়া ব্যতীত মাফ করা), (গ) মাশওয়ারা, (ঘ) অন্যের পক্ষ থেকে এস্তেগফার।
|
তালীম সম্পর্কীয়ঃ
|
তালিমের উদ্দ্যেশ্য হলো আমলের এহতেসার পয়দা করা । তালিমের নূর বান্দাকে আমলে দাঁড় করাবে।
|
দ্বীনের যতটুকু দাওয়াত দিব ততটুকু দ্বীন জিন্দেগীতে বাকী থাকবে।
|
সমস্ত এলেমকে দাওয়াতের ময়দানে ফেলে ঈমান ও একীন বানাতে হবে।
|